আমরা দেখছি কিভাবে খেলা বিষয়ক অসন্তুষ্টি আমদের নিয়ে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক ঘৃনার দিকে।

প্রক্ষিত টা একটু বুঝে নিন:

বাংলাদেশী জাতীয়তার প্রেসিডেন্টের অধীন বিশ্ব ক্রিকেট কাউন্সিল একটি বানিজ্য করে থাকে। যার নাম ক্রিকেটের নামে ব্যাবসা। সেই ব্যবসায় টেলিভিশন চ্যানেল, বিজ্ঞাপণী সংস্থা, স্পন্সর কম্পানি সবাই অর্থ বানায়। বিরাট মচ্ছব।

তবে এই ‌’ভেঞ্চারের‌’ পেছনের আরেকটি উপযোগ অনেক আগেই জাতীয়তাবাদীরা খুঁজে পেয়েছিলো। তা হলো খেলানুভূতি পুঁজি করে রাষ্ট্রীয় প্রেম জাগ্রত করা।

বাংলাদেশ এখনো ইসলামবাদীদের জন্য একটা বিপদের স্থান। দেশের প্রধানমন্ত্রী, তার পরিষদ সকলেই মুসলমান হলেও, দেশের প্রধান সংস্কৃতি এখনো অ-সাম্প্রদায়িক, পাকিস্তানের সাথে তুলনায়।

এই রাষ্ট্রকে দ্রুত পাকিস্তান বানাবার একটা প্রচেষ্টা সবসময় চলে। ‌খেয়াল করুন ‘দ্রুত’ শব্দটি, কারন ধীরে ধীরে এমনিতেই হয়ে যাবে।

বাংলাদেশী লোটাস কামালের নিয়োজিত আম্পায়ার যখন ভারতের সাথে বাংলাদেশের খেলায় পক্ষপাতিত্ব করে, তখন বিপুল বাংলাদেশী ক্ষুব্ধ হয়, কিন্তু ক্ষোভ মেটানোর স্থান পায় না।

সেই স্থানটি আবিষ্কার করে দেশে এবং ভারতে লুকিয়ে থাকা ‘ছাগুরা’‌। দুই তরফেই মাত্রাতিরিক্ত খোঁচাখুচি শুরু করে, এবং এক সময় তা হিন্দু মুসলিম ‘ অনলাইন দাঙ্গা ‘র রূপ নিতে পারে।

এক দাঙ্গায় বঙ্গ ভঙ্গ হয়ে গিয়েছিলো অতীতে, এবার কি হবে? এপার/ওপার বাংলায় বাঙালী সংস্কৃতির যে মেলবন্ধন রয়েছে, তার দিকে শকুনের নজর সবসময়ই সউদি/পাকি/কাতারীদের।

পাকি/কাতারী বংশের সুবিধা করে দেবেন না, আমাদের অর্জনগুলির দিকে নজর রাখুন। এই প্রথম বাংলাদেশ এতটুকু এসেছে, পরের বার আরো যাবে। কিন্তু পাকিস্তান হয়ে গেলে বিশ্বকাপ জিতলেও কেউ আপনাকে ফুটো পয়সার সন্মান দেবে না।

পাকিস্তানকে গোটা বিশ্ব ঘৃনা করে, বাংলাদেশকে ঘৃনার পাত্র বানাবেন না গোটা বিশ্বের কাছে।

ইসলামবাদীদের নিয়ন্ত্রন করুন। রাজনীতি, খেলা, সংস্কৃতিতে ইসলামের কোন স্থান নেই। ঢুকতে চায় আমাদের ক্ষোভকে সঙ্গী করে, এই অপচেষ্টা রুখে দিন।