আমরা খুব সহজেই ভেসে যাই। এখন ভাসছি ঘৃনার সাগরে…

গতকাল বলছিলাম আমাদের আশে পাশে ছড়ানো জালের কথা। এই জালের ব্যবহার বিবিধ।

মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষণ, শরণ, অস্ত্র আর বাহিনী দিয়ে সহায়তা করবার কারনে ভারতের প্রতি যে কৃতজ্ঞতা বোধ ছিলো, তা মুছে ফেলা খুব জরুরী আসলে।

ভারতের এক পাশে পাকিস্তান, অন্যপাশে চীন, এ পাশটাতে তো বাংলাদেশ, আপাতঃ অসাম্প্রদায়িক এবং ভারতের প্রতি তুলনামূলকভাবে প্রতিবেশীসূলভ মনোভাব ছিলো বাংলাদেশী জনগনের মনে।

সময় এসেছে সাঁড়াশি আক্রমন চালিয়ে এই অ-সাম্প্রদায়িক ইতিহাসের জনপদকে দ্রুত সাম্প্রদায়িক করে তোলবার। অনেক স্তরেই কর্মকান্ড চলছে।

ভারতের বিরূদ্ধে আমাদের ‘ঘৃনা’‌ বোধ করা, ঘৃনা ছড়ানো অতি জরুরী। নয়তো আমরা পাকিস্তান হবো কি করে?

তাই ফেলানী হত্যার জের ধরে শিবির নেতারা আমাদের নির্দেশ দেন ওপার বাংলার বই পরিহার করবার।

আইসিসির পক্ষপাতপূর্ণ আম্পায়ারিং এর জের ধরে ভারতীয় ‘জাতের‌‌’ প্রতি ঘৃনা ছড়ানো হয়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা সুবাস বোস হঠাৎ হয়ে যান শুয়রের জাত। ‘ওপারের’ লোকজন হঠাৎ হয়ে যায় বেজন্মা।

খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে অনেকেই নিষেধ করেন, কিন্তু এ যুগে খেলাও রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

ব্রিটিশ হারমাদেরা ভারতবর্ষ না ভাঙলে আমরাও ভারতীয় থাকতাম, যেমন পাকিস্তানীরাও ভারতীয় থাকতো।

৪৭ সালের পর থেকে ভারত মানবসম্পদ উন্নয়নে কোথায় এগিয়ে গেছে, আর পাকিস্তান/বাংলাদেশ কোথায় নেমে যাচ্ছে। এসব কি কারো চোখে পড়ে না?

বিক্ষোভ, ঘৃনা যেন মাত্রা মোতাবেক হয়, আমাদের চারপাশে ছড়ানো জাল, ইসলামিস্ট চরের পাল আমাদের দ্রুত নামিয়ে আনছে পাকিস্তানের স্তরে।

আমাদের হুঁশ কি আদৌ হবে?

মূল লিংক