বাংলাদেশ মুর্খ ছাগল অধ্যুষিত একটি রাষ্ট্র। অন্ততঃ মুর্খ ছাগলেরা ইচ্ছা করলেই যেকোন চলমান ঘটমান আনন্দকে উল্টে দিতে পারে। এই শক্তি আমাদের শেখের বেটির সাথে দর কষাকষির মাধ্যমে ইসলামিস্ট ছাগলেরা দখলে নিয়েছে। শেখের বেটি নানান পলিটিক্স খেলার সুতো ধরে তাদের ব্যাপারে চোখে ঠুলি ও কানে তুলো দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন।

এই ছাগলেরা বাংলাদেশের যেকোন প্রগতিশীল আন্দোলনকে গলায় চাপা দিয়ে মেরে ফেলতে পারে। শাহবাগ মেরে ফেলেছিলো। এরকম আরো অনেক আন্দোলন শ্রেফ মরে গেছে ছাগলদের কল্যাণে।

বাংলাদেশের সরকার এই ছাগলদের পোষক, তাদের প্রচ্ছন্ন ক্ষমতার উৎসও বটে।

বাংলাদেশ সরকার কিছু প্রগতিশীলও পুষে থাকেন।

ছাগলদের নেতাদের আপনারা চেনেন, সরকারী গৃহপালিত প্রগতিশীলতার ভড়ং ধারীদেরও নতুন করে চিনিয়ে দেবার কিছু নেই।

গত তিন দিনে সমপ্রেমীদের আনন্দের খবরে দেশের চিন্তার আবহে একটি সতেজ সমীরন বইতে শুরু করেছিলো।

পর-সহনশীলতার একটা চমৎকার মনোভাব গোটা জাতির মানসিকতাকে আলিঙ্গন করতে যখনই শুরু করেছে, ইসলামিস্ট নামের কুলাঙ্গার ছাগল থেকে বাঙালী যখনই আবার মানুষ হবার দুর-আশা দেখতে গিয়েছে, সউদি দুতাবাসে পাগলা ঘন্টি বাজতে শুরু করেছে।

ষড়যন্ত্র ও যোগ সাজোশ শুরু হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের পুরনো কুশীলবেরা নেমে পড়েছে মানুষের মাঝে নিপীড়িত সমপ্রেমীদের প্রতি সহানুভূতির মাধ্যমে মানবীয় হতে চাওয়া বাঙালীকে আবারও ভয়, আতঙ্ক আর হুমকির যাতাকলে পিষ্ট করবার পরিকল্পনায়।

ইসলাম ধর্মটি পৃথিবীতে একটি মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম কোথাও বাদ নেই ইসলামে কুর্কীর্তির দুর্গন্ধ ছড়ানোর।

তবুও মানুষের মাঝে আশা থাকে, হয়তো কোন এক দিন এই কুৎসিত ধর্মটির চাড়ালেরাও মানুষকে মানুষ হিসেবে ভাবতে শিখবে।

এথিস্ট রিপাবলিক নামের বিশ্বজোড়া এক সংগঠন তাই বুকে বড়ো আশা নিয়ে ইসলামের পুজোর মন্দির কাবাকে সাতটি রঙে জড়িয়ে দিয়েছিলো। ভালোবাসা, সুস্থতা, প্রকৃতি, বাসনা, কল্পনা ইত্যাদি মানবীয় দিকের আবহ দিয়ে জঘন্য এই ধর্মটিকে একটু মানবিক করতে আগ্রহী হয়েছিলো কোন এক শিল্পী।

 

 

lgbt kaaba

কিন্তু মানবতার সাথে কি ইসলামের কোন দিন যুৎসই কোন আলাপ কোন দিন হয়েছে?

না, হয় নি।

বাংলা অঞ্চলের ছাগলের পাল তাই রঙ্গীন কাবার ভালবাসার আবীর কে ‌‌‌’অপমান’ হিসেবে নিয়েছে। ম্যাৎকারে ম্যাৎকারে ভুবন ভরিয়ে দিয়েছে।

এতে হাওয়া দিয়েছে গৃহপালিত কিছু প্রগতিশীলও, এরা নতুন যুগের রাজাকার।

কি করবেন? যতোদিন তৈল-ডলারে বাংলাদেশের ‘শেখ’ মুজিবর রহমানের কণ্যা আরেক ‌’শেখ’ হাসিনা নিজেদের তৈলাক্ত রাখবেন, পিতৃহত্যাকারীদের সাথেই হাত মেলাতে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে লাথি মেরে, ততোদিন বাংলাদেশে ছাগলের পালই বাড়তে থাকবে।

জয় ইসলামী বাংলা। জয় ইসলামী ছাগলামি। মুক্তিযুদ্ধের আত্মদানকারীদের মৃত্যু পরিপূর্ণ বৃথা গেলো।

হয়তো মানবতা কোনদিনও এই জনপদে আর ডানা মেলবে না।

 

[Published in Facebook as well]