আমাজন বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো বই বিক্রেতা। প্রিন্টেড বাঁধাই করা বই তারা যেমন বিক্রি করে, তেমনি ইলেকট্রনিক মাধ্যম, মানে তাদের -কিন্ডল- ট্যাবলেট যন্ত্রে বইয়ের বিক্রয় ও বিতরণ এ যুগের একটা জনপ্রিয় বাজার।
দুঃখজনক হলো বাংলা সহ অনেক ’ইন্ডিক’ (মানে ভারতীয় উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভাষাগুলি) আমাজন কিন্ডল যন্ত্রে প্রকাশ ও পাঠ সম্ভব নয়, এখন পর্যন্ত।
বর্তমানে বইয়ের ’ডিজিটাল’ রূপ হলো স্ক্যান করা পিডিএফ, একমাত্র উপায়। শুধুমাত্র কম্পিউটার, ট্যাবলেটে এই পিডিএফগুলি পড়তে হয়।
পিডিএফ এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। এর প্রকাশক তার বিনিয়োগ ফেরৎ পান না, পাঠক এর জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করে না।
কিন্তু সবচেয়ে বড়ো সমস্যা, টেকনিক্যাল। মানে আমাজন কিন্ডল যন্ত্রে ইংরেজী বই, যেন পাত উল্টে ছাপানো বইয়ের মতোই আরাম করে পড়া যায়। পাঠকের সাচ্ছ্যন্দের সাথে সংগতি রেখে সেই বইয়ের অক্ষরগুলি বড়ো ছোট করা যায়, ছাপা বইয়ের চেয়ে অনেক কম দামে কিনতে পারা যায়। প্রকাশক বইয়ের বিক্রির পরেও এর অপব্যাবহার নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। বই শিল্প চালু রাখতে যা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকাশক যদি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে, যা বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে, তাহলে মোটা দাগে বই পড়ার চল উঠে যাবে, যাচ্ছে।
একটা সুখবরের সুগন্ধ আসছে। আমাজন বরাতে শোনা যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারী থেকে ‘ইন্ডিক’ ভাষাগুলি সম্ভবতঃ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছেন।
ভারতীয় পুস্তক শিল্পকর্মীরা অনেক আগে থেকেই তামিল, হিন্দি, কন্নঢ়, বাংলা ইত্যাদি ভাষা বিশ্ব ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমগুলিতে সংযুক্ত করতে সবসময়ই কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশে আমাদের অভ্র রয়েছে। বাংলা ভাষার বর্তমান সময়ের মহান বীর, মেহেদী ভাই রয়েছেন।
সবার প্রচেষ্টায় আমাজনের সাথে যদি আমাদের ’বাংলা-দেশ’ হিসেবে সংযোগ সাধিত হয়, তবে অচিরেই পুস্তক শিল্পকর্মীগন বইয়ের প্রকাশনা, বিক্রয় ও বিতরণে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে Ahmedur Rashid Tutul ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এছাড়াও বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাঙালীদের মধ্যে যাদের আমাজনের উচ্চপর্যায়ে যোগ রয়েছে, তাদের সামষ্টিক প্রচেষ্টা আমাদের এগিয়ে নিতে পারে।
জুনায়েদ পলক নামের কি একজন তক্তাপ্রযুক্তি মন্ত্রক রয়েছেন আমাদের? তিনি কি আদৌ এ বিষয়টা বোঝার মতো ধুসর পদার্থ ধারন করেন? তিনি কি আদৌ এ বিষয়ে কোন অবদান রাখবেন? আমাদের আশা তাঁর কাছ থেকে খুবই কম, কিন্তু যদি পারেন, তবে অন্ততঃ একটা ‘প্রকৃত’ কাজ হয়তো পাওয়া যাবে তার কাছ থেকে।
তবে অতি অবশ্যই জেনে রাখবেন, বাংলাদেশের ওপর অক্টোপাসের মতো জেঁকে বসা ইসলামী কুপমন্ডুক শক্তি এবং তাদের দোসর আমলাতন্ত্র বাধ সাধবে, সাধে। তাদের হাতে পিঠে ছুরি খাবেন না, সাবধান।